রাজধানীর পুরান ঢাকার সাতরওজা এলাকার গৃহবধূ সুমি আক্তার আজ (রোববার) সকাল ১০টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালের শিশু বহির্বিভাগের টিকিট কেটে ঠাঁই দাঁড়িয়ে আছেন। অসুস্থ তিন বছরের শিশুকন্যা রোজাকে ডাক্তার দেখাবেন। লম্বা সিরিয়াল, এক ঘণ্টারও বেশি সময় অপেক্ষা করেছেন। কিন্তু সিরিয়াল পাননি। ছোট্ট একটি কক্ষে আরও অনেক অসুস্থ শিশুর অভিভাবকদের উপস্থিতির কারণে গরমে কোলের শিশুটি গা এলিয়ে দিয়েছে মায়ের ঘাড়ে।
এ প্রতিবেদকের সঙ্গে আলাপকালে সুমি আক্তার বলেন, গত দুদিন ধরে মেয়েটার প্রচণ্ড জ্বর। সেই সঙ্গে কাশি ও বমি হচ্ছে। সদাচঞ্চল মেয়েটি ক্রমেই নিস্তেজ হয়ে পড়ছে। এখন ডাক্তার দেখাতে অপেক্ষা করছেন।
শুধু সুমি আক্তার নয়, ঢামেক শিশু বহির্বিভাগ ঘুরে দেখা গেছে, বিভিন্ন বয়সি অসুস্থ শিশুদের নিয়ে অসংখ্য অভিভাবক ডাক্তার দেখাতে লাইনে দাঁড়িয়ে কিংবা বেঞ্চে বসে অপেক্ষা করছেন। প্রায় সবারই জ্বর, সেই সঙ্গে মাথাব্যথা ও কাশি। শুধু শিশুদেরই নয়, মেডিসিন বিভাগেও বিভিন্ন বয়সি পুরুষদের লম্বা সিরিয়াল দিয়ে ডাক্তার দেখাতে দেখা যায়।
ঢামেক হাসপাতালের শিশু বিভাগের আবাসিক চিকিৎসক ডা. রাজেশ মজুমদার জানান, এখন ঘরে ঘরে ভাইরাস জ্বর হচ্ছে। জ্বর, মাথাসহ সারাশরীর ব্যাথা এবং কারও কারও বমি হচ্ছে। বিশেষ করে শিশুদের জ্বর বেশি হচ্ছে।
তিনি জানান, ঢামেক হাসপাতালের শিশু বর্হিবিভাগে কয়েকদিন আগেও গড়ে ১৫০জন থেকে ২০০ রোগী হলেও বর্তমানে দ্বিগুনেরও বেশী রোগী হচ্ছে।
তিনি জানান, যত রোগী আসছে তাদের শতকরা ৬০ভাগ ভাইরাস জ্বরের রোগী। এ ভাইরাস জ্বর রোগীভেদে ১০৩/১০৪ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্য়ন্ত উঠে যায়। রোগীর মাথাব্যাথাসহ বমি হয়। ভাইরাল জ্বরের এ ধরনের রোগী সাধারনত তিনদিনেই ভাল হয়ে যায়।
প্রচন্ড গরমের কারনে শিশুদেরকে খুব প্রয়োজন না হলে ঘরের বাইরে না যাওয়ার পরামর্শ দিয়ে বলেন, শিশুদের তরল পানীয় জাতীয় খাবার বেশী পরিমান খাওয়াতে হবে। ঘাম হলে পাতলা সুতি কাপড় ভিজিয়ে শরীর মুছে দিতে হবে। চিকিৎসার ব্যাপারে তিনি বলেন, অনেক অভিভাবক দু একদিন অপেক্ষা না করে এন্টিবায়োটিক ওষুধ খাওয়ানো শুরু করেন। এতে হিতে বিপরীত হয়। তিনি জ্বর হলে প্রথমত শুধু প্যারাসিটামল জাতীয় ওষুধ সেবনের পরামর্শ দেন।
রাজধানীর লালবাগ এলাকার বাসিন্দা হাফিজ আলম জাগো নিউজের সঙ্গে আলা?